আল তাম্মার (রহ:) ফাসি অবস্থায়ও আলী (আ:) এর প্রশংসা ছাড়েন নি।
আল তাম্মার (রহ:) উনি আগে গোলাম ছিলেন। মুহাম্মদ সাঃ দাসদের মুক্ত করে দেয়ার প্রতি প্রচুর অনুপ্রেরণা দিতেন। তাই আলী রাঃ যখন খলিফা তখন দাস খরিদ করে নিয়মিত দাস মুক্ত করতেন। মাইথাম আল তাম্মার রহ: ছিলেন তাদের মধ্যেই এমন একজন ব্যক্তি।
আলী রাঃ এর জ্ঞান, চারিত্রিক গুণাবলী, দক্ষতা ইত্যাদি নানা গুণাবলী দেখে উনি মুগ্ধ হয়ে পড়েন। উনি সেচ্ছায় আলি রাঃ এর সাথেই থাকতেন। নবিজী সাঃ বলেছেন- “আলী হলো জ্ঞানের শহরের দরজা।” মাইথাম আলী রাঃ থেকে জ্ঞানের নানা বিষয় শিখতেন। আলী রাঃ কে অনেক ভালোবাসতেন উনি।
দিন এভাবে কাটতে লাগল। অনেকদিন পেরিয়ে গেল। আলী রাঃ কে মসজিদে নামাজ অবস্থায় কুপিয়ে হত্যা করা হলো। ইমাম হাসান রাঃ খলিফা হলে তাকে বিষপান করিয়ে চক্রান্ত করে হত্যা করা হলো। সিফফিনের যুদ্ধ থেকে শুরু করে এই পর্যন্ত করা চক্রান্তে সফলতা অর্জিত হলে আমীরে মুয়াবিয়া গদিতে বসে খেলাফত সিস্টেম পরিবর্তন করে গেলেন। প্রতিষ্ঠা করলেন উমাইয়া রাজবংশ। ইমাম হাসান রাঃ এর সাথে যেই চুক্তি ছিল তা ভঙ্গ করে শাসক বানিয়ে গেলেন তার পুত্র ইয়াজিদকে।
তবে এটা অনেকে মানতে পারে নি। কুফায় অবস্থিত জনগণ খলিফা হিসেবে ইয়াজিদের বদলে ইমাম হুসাইন রাঃ কে চাচ্ছিল। এইসময় আলী, হাসান ও হুসাইন রাঃ এর প্রশংসা করুক তাদেরকে ইয়াজিদের চামচারা ধরে ধরে হত্যা করেছে। সবাইকে ভয় দেখাত ইনাদের প্রশংসা করলে এই অবস্থায় হবে!তার ই একজন মাইথাম আল তাম্মার রহঃ। মাইথাম আল তাম্মার রহঃ আলী রাঃ এর ভক্ত হওয়ায় কারণে তাকে ইয়াজিদের চামচা উবায়দুল্লাহ বিন জিয়াদের নির্দেশে সকলের সামনে ফাসি দেয়।
ফাসি দেয়া অবস্থায় ও আলী রাঃ এর প্রশংসা করা উনি ছাড়েন নি। তাই উনার জিহবা পর্যন্ত কেটে দেয়া হয়। জিহবা থেকে ক্রমাগত রক্ত বের হতে থাকে ওনার। আর ইয়াজিদের অর্থদ্বারা পালিত চামচারা তা দেখে আনন্দ নিতে থাকে! এর কয়দিন পরেই(১০ ই মহররম) ঘটে হৃদায়বিরাক কষ্টের কারবালার যুদ্ধ। যা যতই মনে পড়ে ততই মনে কষ্ট লাগে।
– লিখেছে: সাজ্জাদ।