পোশাকের অযুহাতে নারী অবমাননা।
সামান্য পোশাকের অযুহাত দেখিয়ে সুযোগ পেলেই নারীর কর্নে ঠুকিয়ে দিচ্ছিস তদের কুরুচিপূর্ণ অশ্লীল জিহবা নামক যোনী, নোংরা ভাষায় তাদের ধর্ষণ করিস তদের মুখ নিঃসৃত অশ্লীল বাক্য দ্বারা। কখনো বা ছুঁয়ে দিস তাদের তনে তদের হাত। কখনো করিস বস্ত্রহরণ, তাও আবার বস্ত্রহীনতার দোহায় দিয়ে। শুধু কি তাই!!! সুযোগ পেলে ছাড়ছিস না কোনো ভাবেই তাদের, নিজেদের কাম ক্ষুধা নিবারন করে নিচ্ছিস সামান্য পোশাকের অযুহাত দেখিয়ে।
আরে নারী ত শুধু তোদের ভোগের বস্তু না, শুধু তদের কাম ক্ষুধা নিবারনের খাদ্য নয়। না তারা কোনো কোনো বন জঙ্গল বা চিড়িয়া খানার প্রাণী। নারীর আরো কয়েক টা পরিচয় আছে, সেগুলো কেন ভুলে যাস তোরা!
একটা নারী তর মা, যে তকে গর্ভে ধারন করেছেন। একজন নারী তর বোন, যে তোকে মায়ের মত ভালবাসা দিয়েই বড় করে তুললেছে অথবা মেয়ের মত তোকে ভালবেসেছে। একজন নারী তর মেয়ে। একজন নারী তর স্ত্রী, যে কিনা তর জন্য সব বিসর্জন দিয়ে নিজেকে তর কাছে অর্পন করেছে শুধু তোকে ভালবেসে। একবারও কি তাদের এই পরিচয় গুলো নিয়ে ভেবে দেখেছিস!
আর বলতেছিস আধুনিকতার কথা, আরে অসভ্য কোথাকার একবারও কি ভেবে দেখিছিস যে, তুই যে আধুনিক যুগে বাস করছিস, এরকম চলতে থাকলে আগামীতে আধুনিক এর অর্থ কি দাঁড়াবে! তর ছোট আধুনিক কর্ম গুলো বড় হতে হতে আধুনিকতার মাত্রা কতটা বৃদ্ধি পাবে ভেবে দেখছিস! তাহলে তর বাচ্চা মেয়েটি কেমন আধুনিকতার মধ্যে বড় হবে আগামীতে? একবারও কি তা ভেবে দেখেছিস!
এই আধুনিক যুগে যদি তোরা প্রকাশ্যে মেয়েদের কাপড় খুলে নিতে পারিস, তাহলে আগামী তে যে আধুনিক যুগের জন্ম হবে, সেই যুগে তর ছোট বোন, দুর্ররর বোনের কথা বাদই দিলাম, কারন তোদের ত আর মা-বোন বলে কোনো বাছ বিচার নাই, অন্তত তর মেয়ের কথাই ভেবে দেখতো। তর মেয়েকে সেই আধুনিক যুগের ছেলেরা কি কি করতে পারে। ভেবে দেখ আরেকটিবার গভীর ভাবে।
এখনও সময় আছে, নিজেরা নিজেদের শুধরে নে, তা না হলে একদিন হয়তো তোদের আদর্শে লালিত পুরুষদের কাছে নিজের মেয়েকে প্রকাশ্যে ধর্ষনের দৃশ্য দেখতে হবে। ভেবে দেখ ত, সেটা সহ্য করতে পারবি কি না। মনে হয় না পারবি, আবার সহ্য করতে পারলেও পারতে পারিস, কারন এটা ত তোদের দেওয়াই থীওরী যে, কাপড় ছোট হলে বা নারীরা একা বের হলে তাদের ইভটিজিং করতে হয়। তাহলে তদের মেয়ের বেলাও তখন এমন টাই বলিস। তখনই তদের দেওয়া থীওরী সার্থক হবে, তখনই পাবি তদের উত্তম প্রতিদান।
– DM Rahat