
মুনকার-নকীর কি এবং তারা কিভাবে মৃত ব্যক্তিকে প্রশ্ন করবে।
পোস্টটি সবার জন্য নহে। আত্মজ্ঞান লাভের উদ্দেশ্য যারা সূফিবাদ চর্চা করে পোস্টটি শুধু তাদের জন্য।
মুনকার আরবী শব্দ, যার অর্থ -অপরিচিত, আশ্চর্যজনক। আরবী নকীর শব্দের অর্থ-তিরস্কারকারী। প্রচলিত ধারণা মতে – মুনকার নকীর বলতে মৃত ব্যক্তির রুহটাকে ঈমানী পরীক্ষা নেওয়ার জন্য সওয়াল জবাবের উদ্দেশ্য যে দুজন ফেরেশতা আসে, তাদেরকে বুঝায়।
রাসূল পাক (সাঃ) বলেন,
“মৃত্যুর সময় ঈমানের পরীক্ষা নেয়ার জন্য দুজন ফেরেশতা আসে এবং তাকে জিজ্ঞেস করে – তোমার রব কে? সে বলে আল্লাহ আমার রব। অতঃপর তাকে জিজ্ঞেস করে – তোমার ধর্ম কি? সে বলে, আমার ধর্ম ইসলাম। অতঃপর তারা তাকে হযরত রাসূল পাক (সাঃ) কে দেখিয়ে প্রশ্ন করে এ ব্যাক্তি কে, যাকে তোমাদের মাঝে প্রেরণ করা হয়েছিল? তখন সে বলে, ইনি তো রাসূল আল্লাহ (সাঃ)। (মেশকাত শরিফ, পৃষ্ঠা নং ২৫। সূত্রঃ মুসনাদে আহমাদ ও সুনানে আবু দাউদ শরীফ)।
তাসাউফের সাধনা করে আমি যা পেয়েছি, তা হলো মুনকার ও নকীর বলতে কোন ব্যাক্তির ভাল ও মন্দ কর্ম বিবরণীকে বুঝায়। মৃত্যুর পর যখন মানুষের আত্মার সামনে তার সারা জীবনের কর্ম বিবরনী প্রকাশ করা হয়, তখন সেই বিবরণী তার কাছে আশ্চর্যজনক ও অপরিচিত বলে মনে হয়। অথচ এই বিবরণী অত্যন্ত যথাযথভাবে সংরক্ষিত হয়েছে। অর্থাৎ কোন ব্যক্তি যখন যে কাজ করেছে এর মধ্যে যতটুকু ভাল বা মন্দ উদ্দেশ্য; তার আত্মা দেহ ত্যাগ করার পর সারা জীবনের কাজের পরিচয় ঠিক সেভাবেই পেয়ে থাকবে।
মুনকার নকীর ফেরেশতা কর্তৃক মৃত ব্যক্তিকে প্রশ্ন করার বিষয়টি সূক্ষ্ম বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, ঐ ব্যক্তির মধ্যে বিদ্যমান আল্লাহর সুপ্ত সত্তা উপস্থিত হয়ে মৃত ব্যক্তির কর্ম অনুযায়ী তাকে পুরস্কার অথবা তিরস্কৃত করে থাকে।
সূত্র: আল্লাহ কোন পথে।
নিবেদক : অধম পাপী মোজাম্মেল পাগলা।