হোমপেজ ইসলামের ভ্রান্ত ধারণা নিজের অজান্তেই আমরা সমাজের মোল্লাদের প্রভু বলে ডাকছি!

নিজের অজান্তেই আমরা সমাজের মোল্লাদের প্রভু বলে ডাকছি!

নিজের অজান্তেই আমরা সমাজের মোল্লাদের প্রভু বলে ডাকছি!

নিজের অজান্তেই আমরা সমাজের মোল্লাদের প্রভু বলে ডাকছি। হে মুসলিম জাতি আর কতকাল অজ্ঞতার বশে শিরক কাজ করবেন?

মাওলানা কথাটির বাংলা অর্থ হল- “আমাদের প্রভু”। এই কথাটি সর্বশক্তিমান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে নয়টি স্থানে ব্যবহার করেছেন। যার অর্থ- “আমাদের প্রভু”।

দুনিয়ার কোন নবী-রাসূলগন তাঁদর নামের পূর্বে “মাওলানা” শব্দটি ব্যাবহার করেন নাই। যেমন: মাওলানা হযরত আদম (আঃ), মাওলানা ইব্রাহীম (আঃ), মাওলানা মূসা (আঃ), মাওলানা ঈসা (আঃ)।

এমনকি রাসূল পাক (সাঃ) এর কোনো সাহাবী তাদের নামের পূর্বে এই মাওলানা শব্দটি ব্যাবহার করেন নাই। যেমন: মাওলানা হযরত আবু বকর, মাওলানা হযরত ওমর, মাওলানা হযরত ওসমান ইত্যাদি।

এছাড়াও হাদিস সংকলনকারীদের কেউ যেমন: মাওলানা বোখারী, মাওলানা মুসলিম, মাওলানা তিরমিজি।

আবার কোন মাযহাবের ইমামদের নামের পূর্বে যেমন: মাওলানা হানাফী, মাওলানা শাফেয়ী, মাওলানা হাম্বলী, মাওলানা মালেকী নাই।

বাংলার জমিনে যাদের অক্লান্ত চেষ্টা সাধনার মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম পেলাম তাদের নামের পূর্বে যেমন: মাওলানা শাহজালাল, মাওলানা শাহপরান, মাওলানা খান জাহান আলী নাই।

তাহলে “মাওলানা” টাইটেলটা আল্লার কোনো নবী, কোনো রাসূল হতে পারল না, কোন সাহাবী, কোন ইমাম হতে পারল না।

অথচ এই মাওলানা কিন্ত বর্তমান জামানার মোল্লারা টাইটেল মাওলানা টাইটেল ব্যাবহার করে। তারা কি আমাদের প্রভু বা আমাদের খোদা? এর চেয়ে বড় শিরক কি হতে পারে?

এবার দেখা যাক কোথা থেকে আমদানী হইল এই মাওলানা খেতাব।

১৭৮২ সালে বৃটিশ শাসন আমলে সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠিত হয় কলিকাতা আলিয়া মাদ্রাসা। দুই কান খুলে আরও জেনে নিন যে, ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রথম প্রিন্সিপাল থেকে শুরু করে ক্রমান্বয়ে ২৬ জন ১০০ বছর প্রিন্সিপাল ছিল খিষ্টান। এই প্রিন্সিপালবৃন্দ সকলেই খ্রীষ্ট ধর্মের লোক ছিলেন। কেউই মুসলিম ছিলেন না ।

অর্থাৎ ইসলাম ধর্মের সার্টিফিকেট দিচ্ছেন অন্য ধর্মের ব্যক্তিগন! সেখান থেকে পাস করলে মোল্লাদের দেওয়া হয় “মাওলানা” খেতাব। পরবর্তীতে ১৮৩৭ সালে এদের শাসন আমলেই প্রতিষ্ঠিত হয় দেওবন্দ মাদ্রাসা।

দুনিয়াতে আজ পর্যন্ত কোন খ্রীষ্টান গীর্জায় বা মন্দিরের প্রধান পুরোহিত মুসলিম ছিলেন না। এমনকি কোন হিন্দু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান পুরোহিত কোন মুসলিম ব্যক্তি ছিলেন না। অন্য ধর্মালম্বী হয়ে তারা লক্ষ লক্ষ ডলার খরচ করেছে ইসলাম ধর্মের জন্য? বাহ কি চমৎকার জনদরদী খ্রীষ্টানরা।

ধর্ম শিখলেন খ্রীষ্টানদের কাছ থেকে, তাহলে আপনি মুসলমান দাবি করেন কোন ভিত্তিতে। লজ্জা হওয়া উচিত আমাদের। এখনো সময় আছে অলী আল্লাহর কাছে গিয়ে মুসলমান হোন।

কারবালা প্রান্তরের সেই এজিদি মুসলমানদের ক্ষেত্রেই এই জাতীয় তুঘলকি কান্ড সাধন করা সম্ভব হয়েছে। দুঃখের সাথে বলতে বাধ্য হচ্ছি: আমাদের চারিপাশের সমাজের প্রচলিত ইসলাম ধর্মের মূল জনক হলেন ব্রিটিশ রাজ। আর যারা নিজেরাই খোদা সেজে বসে আছে, তাদেরকে সাহায্য করবে কোন খোদা?

বিঃদ্রঃ যারা আল্লাহর জাত-পাকের সাথে মিশে একাকার হয়ে গেছে অর্থাৎ বাকা বিল্লায় উপনীত হয়েছে তারা ইচ্ছে করলে ব্যবহার করতে পারবে। যেমন মনসুর হিল্লাজ এই অবস্থায় বলেছিল, আনাল হক। অর্থাৎ আমি হক। এই ধরনের উঁচু স্তরের অলী আল্লাহগণ মাওলানা ব্যবহার করতে পারবে। তাই বলে মাদ্রাসা থেকে পাস করেই খ্রীষ্টানদের দেওয়া উপাধি মাওলানা ব্যবহার করবেন, তা হতে পারে না। কিতাবি বিদ্যায় মাওলানা নয় বরং আল্লাহর সাথে একাকার হয়ে মিশে যাওয়ার নামই মাওলানা।

নিবেদক: অধম পাপী মোজাম্মেল পাগলা।