পৃথিবীতেই আল্লাহ দর্শন
দুনিয়াতে আল্লাহকে দর্শন করা যায় না ইহা অপ্রিয় সত্য কথা। এবং চর্মচক্ষু দিয়েও তাঁকে দেখা যায় না। অবশ্যই পৃথিবীতে আল্লাহকে দর্শন করা যায়। কারণ, মুহাম্মদ (সা.)- কে সবাই দেখতে পান নাই, তিনি যে রাসুল আল্লাহ। একমাত্র তারাই আল্লাহকে রাসুলরূপে দর্শন করেন যারা ঈমান আনে।
আল্লাহকে এখনো দর্শন সম্ভব, শুধুমাত্র রসুলের উপর ঈমান আনতে হবে। ঈমানের দৃষ্টিতে পৃথিবীতে আল্লাহকে দেখা যায়। আপনি স্বীকার করুণ অথবা না করুণ এই পৃথিবীটাই আল্লাহর জান্নাত, আর দুনিয়া হল জাহান্নাম। আদম পৃথিবীতে থাকে, দুনিয়াতে নয় । দুনিয়া মানুষের অন্তরে থাকে। মুমিন পৃথিবীতে থাকে। মুমিন জান্নাতি।
বর্তমান যারা পৃথিবীতে মুমিন বলে নিজেকে পরিচয় দেয়, তারা কিন্তু আল্লাহ দেখেছেন এবং তারা আল্লাহকে দর্শন করিয়ে দিতে পারেন মানুষকে, যদি মানুষ ঈমান আনেন নবি অলির উপর। পৃথিবীতে আল্লাহকে দর্শন করার শর্ত হল ঈমান আনতে হবে। তাহলে ঈমানটা কি? রাসুলের বাহিরে আল্লাহ নাই। আল্লাহ এবং রাসুল একনূর।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পৃথিবীতে অনেকরূপে প্রকাশিত হয়েছেন, কিন্তু মানুষ আল্লাহকে নিজের মতো জ্ঞান করে, আল্লাহকে দন্ড দিয়েছে, আল্লাহকে ভন্ড, পাগল, নাস্তিক, গাঁজাখোর বলে লাঞ্ছিত করেছেন। তাই আল্লাহ বলেন অবিশ্বাসীরা আমাকে ঢেকে রাখে, আমাকে প্রকাশ হতে দেয় না।
পৃথিবীতে যত মসজিদ, মন্দির, গীজা, প্যাগোডা, কালিশা রয়েছে, সকল মসজিদ, মন্দির, গীজা, প্যাগোডা, কালিশার মিম্বরে আল্লাহর পরিচয় প্রাপ্ত মুমিন বসে আছেন। আসলেই কি তারা মুমিন? এই তথাকথিত মুমিনরা আল্লাহর কুরসিতে বসে, আল্লাহর বান্দাকে মারার ফতোয়া ঝারে। মানুষ কবে বুঝবে, শয়তান মুমিন সেজে মসজিদ, মন্দির, গীজা, প্যাগোডা, কালিশা বানিয়ে মিম্বরে বসে রয়েছে। কেউ যেন বুঝতে না পারে, শয়তান সে আস্তা একটা বাটপার, প্রতারক। শয়তান মসজিদের মিম্বরে বসে মানুষকে শব্দের মায়াজাল বিস্তার করে আল্লাহর আউলিয়াদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য যুদ্ধে লিপ্ত হয়।
আল্লাহর আউলিয়াগণ আল্লাহর হুকুম রূহকে বহন করে চলছেন। সুতরাং আল্লাহকে মসজিদে খোঁজে লাভ নাই, তিনি এখন ফতোয়াবাজ মোল্লাদের অত্যাচারে দশচক্রে ভগবান ভূত হয়ে আছেন। কেউ যদি আল্লাহকে দেখতে চায় তাহলে তাকে দুনিয়া এবং ইট পাটকেলের তৈরি মসজিদের দেওয়ালের বাইরে খোঁজতে হবে। যে আসনে প্রভু বসবেন, সে আসনে প্রভু নেই, অন্য আরেকজন প্রভু সেজে বসে আছেন সুন্নিতি জার্সি লাগিয়ে। কেউ যেন বুঝতে না পারে সে পাটপার।