হোমপেজ আত্ম সচেতনতা মানুষ কোটা ১০০%, প্রাণী কোটা শূণ্য।

মানুষ কোটা ১০০%, প্রাণী কোটা শূণ্য।

159

মানুষ কোটা ১০০%, প্রাণী কোটা শূণ্য।

কুকুর, বিড়াল, শিয়াল, গন্ধগোকুল, নির্বিষ নিরহ সাপ, বিজি, পাখিসহ প্রাকৃতিক অন্যান্য জীবের প্রতি যতদিন এই দেশের মানুষ সদয় না হবে, ততদিন এই দেশ উন্নত হবে না। যে দেশের মানুষ নিজের চেয়ে দুর্বল প্রাণীর উপর জুলুম করে, সে দেশের মানুষের উপর আল্লাহ অত্যাচারী শাসক নিয়োগ করেন।

এই আন্দোলনে পুলিশ, ছাত্রলীগের অন্যায় নিয়ে যত প্রকার অভিযোগ করা হচ্ছে- তার সব অন্যায়ই এদেশের মানুষ নিরহ পশু-পাখিদের উপর প্রতিনিয়ত করে আসতেছে। বরং তার চেয়েও অধিক জুলুম করে।

*তারা গু*লি করেছে হ*ত্যা করেছে?
এরূপ হ*ত্যাকান্ড প্রতিনিয়ত হচ্ছে। প্রতিদিন অসংখ্য অবলা প্রাণীকে নৃশংসভাবে মে*রে ফেলতেছে এদেশের মানুষ।

*তারা গরম পানি ঢেলেছে?
এরূপ গরম পানি এদেশের মা-বোনেরা প্রতিনিয়ত রান্না ঘরের পাশে থাকা অবলা কুকুর-বিড়ালের উপর ঢেলে দিচ্ছেন।

*শিশুদের হ*ত্যা করা হয়েছে?
এরূপ প্রতিনিয়ত কত কুকুর, বিড়ালের বাচ্চার সাথে মানুষ করতেছে, তার তো হিসেবই নেই। সদ্য জন্ম নেওয়া কুকুর-বিড়ালের বাচ্চাকে চোখ ফোঁটার আগেই বস্তায় ভরে ফেলে দিয়ে আসা হয় প্রতিনিয়ত। আর শিয়ালের বাচ্চা মেরে তো রীতিমত উৎসবও করা হয় এদেশে।

*তারা লাঠি দিয়ে মে*রে*ছে?
প্রতিদিন কত শত কুকুর-বিড়ালকে যে বিনা কারণে শখে শখে এভাবে আঘাত করে হাত-পা ভেঙ্গে দেওয়া হয়, তার হিসেব নেই।

*চিকিৎসা করতে বাঁ*ধা দিয়েছে?
অতি সামান্য সামান্য রোগে কুকুর-বিড়াল দিনের পর দিন ভুগে ভুগে মারা যাচ্ছে মানুষের চোখের সামনেই। তাদের চিকিৎসার কথা মানুষের মনেই আসে না।

*মা-রার পর তারা আনন্দ করেছে, তৃপ্তি পেয়েছে?
কুকুর-বিড়াল, শিয়াল মেরে এদেশের মানুষ আনন্দ করে, তৃপ্তি পায়। না মা*র*তে পারলে বিরক্ত হয়।

*হ*ত্যাকান্ড চালিয়ে তারা নিজের স্বপক্ষে যুক্তি দাঁড় করছে?
এদেশের মানুষও অবলা প্রাণীদের মে-রে নিজের স্বপক্ষে অনেক যুক্তি দাঁড় করায়। তারা এটাকে পাপই মনে করে না।

এদেশের মানুষ এতই হিংস্র আর নিষ্ঠুর-নির্দয় যে, একটি মানব শিশুকে জন্মের পরই তাদের শেখানো হয় যে, অবলা প্রাণীদের আঘাতের উপর রাখতে হবে। তারা বাচ্চাদের হাতে লাঠি-পাথর তুলে দেয় কুকুর-বিড়ালকে মেরে খেলা করতে। একটি সমাজের সবচেয়ে দুর্বল-নিরহ মানুষটিও তার চেয়ে দুর্বল এইসব প্রাণীদের উপর জুলুম করে।

মনে রাখবেন- আপনার দেশের শাসকের কাছে আপনি ন্যায় বিচার না পেলেও প্রকৃতির অবলা প্রাণীগুলো তাদের মালিকের কাছে ন্যায় বিচার অবশ্যয়ই পাবে।

এই দেশে যত কিছুই করা হোক না কেন, যদি মানুষ নিজ থেকে আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি রহম না করে, তাহলে শান্তি প্রতিষ্ঠিত অসম্ভব। এবিষয়ে কেউ দায়িত্ব নিয়ে কথা বলতে চায় না। আপনার প্রতি জুলুমের বিচার আপনি আল্লাহর দরবারে দেওয়ার আগেই আপনার নামে আল্লাহর দরবারে কতজন বিচার চেয়ে রেখেছেন, সেই দিকে আপনার খেয়ালই নাই।

মনুষত্বের প্রতিষ্ঠা ছাড়া শান্তি প্রতিষ্ঠা অসম্ভব। আইনের শাস্তির ভয়ে ভালো থাকা আর মনুষত্বের কারণে পাপ থেকে বিরত থাকার মধ্যে আকাশ-পাতাল ব্যবধান।

এ পৃথিবীর মানুষ নিজেরাই কোটাধারী। তারা মানুষ হওয়ার কোটা নিয়ে আছে। পৃথিবীতে শান্তিতে থাকার ১০০% কোটা’ই মানুষ নিজের জন্য বরাদ্দ রেখেছ, প্রাণীদের জন্য ১% কোটাও রাখেনি। এবার অন্তত ‘মানুষ কোটা’র দাবি নিয়ে অন্য প্রাণীদের উপর জুলুম বন্ধ করুন। এই পৃথিবী সবার। সমস্ত সৃষ্টির শান্তিতে থাকার অধিকার আছে। আপনাকে যিনি সৃষ্টি করেছেন, তাদের স্রষ্ট্রাও তিনিই। আপনি আল্লাহর অন্যান্য জীবকে কষ্ট দিয়ে নিজে শান্তিতে থাকার আশা করতে পারেন না। আল্লাহ এটা হতে দিবেন না। তিনি ন্যায় বিচারক।

লেখা: DM Rahat