হোমপেজ জীবনী ও পরিচিতি মনসুর হাল্লাজ সম্পর্কে গাউছে পাকের কওল।

মনসুর হাল্লাজ সম্পর্কে গাউছে পাকের কওল।

মনসুর হাল্লাজ সম্পর্কে গাউছে পাকের কওল।

এক আরিফের আক্বলের পাখি, তার আকৃতি গাছের বাসা থেকে উড়লো। আসমানের মালাইকদের কাতারগুলো ভেদ করতে করতে উর্ধ্বে চড়ে গেল। সেটা আল্লাহর বাজপাখিগুলো থেকে একটি বাজপাখি ছিল। যার চক্ষু যুগল সুতোর বন্ধনে সেলাইকৃত ছিল। ইনসানকে দূর্বল করেই পয়দা করা হয়েছে। সুতারাং আসমান থেকে এমন কোন জিনিস পায়নি যা শিকার করতে চেষ্টা করবে। অতঃপর যখন আমি আমার প্রতিপালককে দেখেছি, এর এক শিকার প্রকাশ পেলো।

তখন তার হতভম্বতা আপন কাঙ্খিতের এ বাণীতে— “যেদিকেই তুমিই মুখ করো, সেদিকেই খোদার’ই সত্তা রয়েছে”, আরো বৃদ্ধি পেলো। তখন সে ভূখণ্ডের দিকে নেমে এলো। আর ওই জিনিস তালাস করলো যা সমুদ্রের তলদেশের অগ্নির অস্তিত্বের প্রখরতা অপেক্ষারও অধিক প্রবল।

মনসুর আল-হাল্লাজ এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ও জীবনী

আপন আক্বলের নজর দিয়ে দেখলে, নিদর্শনাদি ব্যতীত আর কিছুই তার নজরে আসেনি। তারপর চিন্তা করলে, উভয় জাহানে আপন মাহবুব ব্যতীত আর কিছুই তার নজরে আসেনি। আর তখনি খুশী হলো। আর আপন হৃদয়ের নেশায় বিভোরতার রসনা দিয়ে বললো, “আমিই খোদা”। এমন স্বরে গাইলো যা মানুষের স্বরে উচ্চারিত হয়না। অস্তিত্বের (অজুদের) বাগানে এমন সুর বাজালো, যা আদম সন্তানের অবস্থার যোগ্য ছিলনা।

আর এমন সুরে গাইলো যে, নিজেকে নিজে মৃত্যুর সামনে পেশ করলো। তার হৃদয়ের ভিতর থেকে তাকে ডাকা হলো— হে হাল্লাজ! তুমি বিশ্বাস করছো যে তোমার শক্তি তোমার সাথেই আছে। এখন সমস্ত আরিফ বান্দার প্রতিনিধিত্বে একথা বলে দাও যে, ” এককের জন্য এককের একাকিত্বই যথেষ্ট।”

বলো, হে প্রশংসিত নবী (মুহাম্মদ সাঃ), আপনি হাকীক্বতের সুলতান। আপনি অস্তিত্বের (অজুদের) নয়নমণি। আপনার মা’রিফাতের দরজার চৌকাঠের উপর আরিফদের গর্দানগুলো নত হয়। আপনার মহত্বের সংরক্ষিত চারণভূমিতে সমস্ত সৃষ্টির ললাটগুলো রাখা হয়।

  • গ্রন্থসূত্রঃ আল বাহজাতুল আসরার। (মুহিউদ্দিন আবদুল ক্বাদির জিলানী রাঃ এর সর্বাধিক নির্ভরযোগ্য জীবনী গ্রন্থ।)
  • মূলঃ ইমাম আবুল হাসান আলী শাত্বনূফি শাফেঈ।