কারামতে গাউছুল আজম মাইজভান্ডারি।

    গাউছুল আজম মাইজভান্ডারির কারামত।

    সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম আজিম নগরী সাহেবের বর্ণনাঃ-

    তিনি যখন নবম শ্রেণীতে পড়তেন হঠাৎ একদিন তাঁহার মনে আসিল,
    পীরানে পীর দস্তগীর হযরত মহিউদ্দিন আবদুল কাদের জিলানী (ক.) গাউসুলআজম বলিয়া শুনিয়াছি।
    আবার লোকে মাইজভাণ্ডারী হযরত শাহসুফী মাওলানা আহমদ উল্লাহ (কঃ) সাহেবকে গাউসুলআজম বলে কেন?
    তাঁহার মনে সদায় এই প্রশ্ন জাগিতে লাগিল। দিন দিন উহা বাড়িয়া চলিল।
    কিন্তু কোন প্রকারে উহার মীমাংসা খুঁজিয়া পাইতেছেন না।

    এক রাত্রে তিনি স্বপ্নে দেখিতে পান, তিনি বাবাজান কেবলার নতুন বাড়ির উত্তর পার্শ্বস্থ
    রাস্তা দিয়া পশ্চিম দিকে যাইতেছেন সেই সময় দালানের পশ্চিম পার্শ্বে অবস্থিত একটি ইটার পাঁজা ছিল।
    সেই বরাবরে উপস্থিত হইতে প্রায় তিন হাত লম্বা একটি প্রকাণ্ড বাঘ কোথায় হইতে বাহির হইয়া
    তাঁহাকে আক্রমণ করিতে উদ্যত হইল। এহেন সংঙ্কটময় অবস্থায় তিনি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হইয়া বলিয়া উঠিলেন,
    #হে_গাউসুলআজম_মাইজভাণ্ডারী! আমায় রক্ষা করুন”।

    ইহা বলার সাথে সাথে দেখিতে পাইলেন ; হযরতের রওজা মোবারকের উত্তর পার্শ্বস্থ
    জানালাটি ফাঁক হইয়া গেল এবং দেখা গেল রওজা শরীফেই মশারী তরতর করিয়া কাঁপিতেছে
    আর রওজা শরীফ হইতে আওয়াজ বাহির হইয়া আসিতেছে “খবরদার”।
    তখন দেখিলেন ব্যাঘ্রটি দিগ্বিদিক জ্ঞান হারা হইয়া ব্যস্ত ভাবে জবান খুলিয়া বলিতেছে, “কার নাম শুনিলাম”।
    ইহা বলিয়া ব্যাঘ্রটি তাঁহার সম্মুখে রাস্তার উপর ধরাশায়ী হইয়া পড়িল
    এবং তাহার নিকট কাতর মিনতি করিয়া ক্ষমা প্রার্থনা জানাইলেন।

    তৎদর্শনে তাহার স্বপ্ন ছুটিয়া গেল তিনি বসিয়া পড়িলেন।
    চিন্তা করিতে লাগিলেন #গাউসুলআজম_মাইজভাণ্ডারী (কঃ) সত্যই গাউসুলআজম।
    সেই দিন হইতে হযরতের গাউছিয়তের উপর তাঁহার পূর্ণ আস্থা জন্মিল।

    রেফারেন্সঃ- হজরত গাউসুলআজম মাইজভাণ্ডারী (কঃ) জীবনী ও কেরামত গ্রন্থ;
    রচয়িতাঃ- সুলতানে সালতানাতে গাউসুলআজম, খাদেমুল ফোকরা ও অছি-এ-গাউসুলআজম হজরত মাওলানা শাহসূফী সৈয়দ দেলাওর হোসাইন মাইজভাণ্ডারী (কঃ)

    আরো পড়ুনঃ
    Sufibad24.com | WhatsApp চ্যানেল

    Sufibad24.com | Telegram Channel