যৌনলোভ হইতে মুক্তির প্রয়োজনীয়তা

যৌনলোভ হইতে মুক্তির প্রয়োজনীয়তা

প্রথমেই যৌনলোভ হইতে মুক্তির প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করা হইল:-

মানুষ নিজেদের জীবনে এই লোভের প্রশ্রয় দেওয়ার উদ্দেশে আল্লাহর স্বভাবের মধ্যেই এই লোভের অস্তিত্ব সন্ধান করিতে চায়। এমনকি তাঁহাতে ইহা আরোপ করিয়াও থাকে। অথচ আমাদের প্রথম পিতা-মাতাকে এই অপরাধে জান্নাত হইতে বাহির করিয়া দুনিয়ায় ফেলিয়া দেওয়া হইয়াছিল। আল্লাহর বিধান চিরন্তন। তাঁহার নিয়মের পরিবর্তন নাই। যৌন লোভনমন হইতে ত্যাগ না-করা পর্যন্ত কেহই জান্নাতে প্রবেশ লাভ করিতে পারে না—এই কথার উল্লেখ কোরানে অন্যত্র বিস্তারিত ভাবে আছে।

আদমের নফসের মধ্যে ইবলিস নামক জিনকে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ভাবে মিশিয়া থাকিবার অধিকার দান করিবার পর হইতে স্বয়ং আদমকে এবং পরে মহামানবগণের মারফত আদমের সকল বংশধরগণকে জিনের প্রভাব হইতে সাবধানতা অবলম্বনের তাগিদ দিয়া আসিতেছেন। কিন্তু সকল যুগেই মানুষ স্বেচ্ছাচারীতার বশবর্তী হইয়া উক্ত নির্দেশ অমান্য করিয়া আসিতেছে। দুনিয়া হইতে মুক্ত হইয়া জান্নাতবাসী হইতে চাহিলে এই বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন করিতেই হইবে।

বাহিরের জিন এবং বিশেষ করিয়া ভিতরের জিন-মন্যতা হইতে অবশ্য সতর্ক হইয়া চলিতে হইবে, নতুবা জাহান্নামে অধঃপতন অনিবার্য।

সূত্র: কোরান দর্শন – সদর উদ্দিন আহ্‌মদ চিশতী

আরো পড়ুনঃ