কোরানের আলোকে অশ্লীলতা পরিহার।
১ঃ “এবং যাহারা কোন অশ্লীল কাজ করিয়া ফেলিল অথবা নিজেদের প্রতি জুলুম করিলে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজেদের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আল্লাহ ব্যতীত কে ক্ষমা করিবে? এবং তাহারা যাহা করিয়া ফেলে, জানিয়া- শুনিয়া তাহার পুনরাবৃত্তি করে না।” (৩ঃ১৩৫)
২ঃ “প্রকাশ্য কিংবা গোপনে হউক, অশ্লীল কাজের নিকটেও যাইবে না।” ( ৬ঃ১৫১)
৩ঃ “হে বনি আদম! শয়তান যেন তোমাদেরকে কিছুতেই প্রলুব্ধ না করে, যেভাবে তোমাদের পিতামাতাকে সে জান্নাত হইতে বহিষ্কার করিয়াছিল, তাহাদেরকে তাহাদের লজ্জাস্থান দেখাইবার জন্য বিবস্ত্র করিয়াছিল। সে নিজে এবং তাহার দল তোমাদেরকে এমনভাবে দেখ যে, তোমরা তাহাদেরকে দেখিতে পাও না। যাহারা ঈমান আনে না, শয়তানকে আমি তাহাদের অভিভাবক করিয়াছি।”
“যখন কোন অশ্লীল আচারণ করে তখন বলে, আমরা আমাদের পূর্বপুরুষকে ইহা করতে দেখিয়াছি এবং আল্লাহও আমাদেরকে ইহার নির্দেশ দিয়াছেন।”
“বল, আল্লাহ অশ্লীল আচরণের নির্দেশ দেন না। তোমরা কি আল্লাহ সম্বন্ধে এমন কিছু বলিতেছ যাহা তোমরা জান না?” (৭ঃ২৭-২৮)
৪ঃ “বল, নিশ্চয়ই তোমাদের প্রতিপালক হারাম করিয়াছেন প্রকাশ্য ও গোপন অশ্লীলতা আর পাপ এবং অসংগত বিরোধিতা এবং কোন কিছুকে আল্লাহর শরীক করা, যাহার কোন সনদ তিনি প্রেরণ করেন নাই, এবং আল্লাহ সম্বন্ধে এমন কিছু বলা যাহা তোমরা জান না।” (৭:৩৩)।
৫ঃ “অবশ্যই আত্মসমর্পণকারী পুরুষ ও আত্মসমর্পণকারী নারী, মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারী, অনুগত পুরুষ ও অনুগত নারী, সত্যবাদী পুরুষ ও সত্যবাদী নারী, ধৈর্যশীল পুরুষ ও ধৈর্যশীল নারী, বিনীত পুরুষ ও বিনীত নারী, দানশীল পুরুষ ও দানশীল নারী, সাওম পালনকারী পুরুষ ও সাওম পালনকারী নারী, যৌন অঙ্গ হিফাজতকারী পুরুষ ও যৌন অঙ্গ হিফাজতকারী নারী, আল্লাহকে অধিক স্মরণকারী পুরুষ ও অধিক স্মরণকারী নারী- ইহাদের জন্য আল্লাহ রাখিয়াছেন ক্ষমা ও মহাপ্রতিদান।” (৩৩ঃ৩৫)।
৬ঃ “নিশ্চয়ই আল্লাহ ন্যায়পরায়ণতা, সদাচরণ ও আত্মীয় স্বজনকে দানের নির্দেশ দেন এবং আর তিনি নিষেধ করেন অশ্লীলতা, অসৎকর্ম ও সীমালঙ্ঘন; তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দেন যাহাতে তোমরা শিক্ষা গ্রহণ কর। (১৬ঃ৯০)।”
৭ঃ “আর যিনার নিকটর্তী হইও না, ইহা অশ্লীল ও নিকৃষ্ট আচরণ।” (১৭ঃ৩২)
৮ঃ “যাহারা নিজেদের যৌন অঙ্গকে সংযত রাখে, নিজেদের পত্নী অথবা ডানহাতের অধিবাসী ব্যতীত, ইহাতে তাহারা নিন্দানীয় হইবে না। এবং কেহ ইহাদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করিলে তাহারা হইবে সীমা লঙ্ঘনকারী।” (২৩ঃ ৪-৭)
৯ঃ “যাহারা আমানুদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার কামনা করে তাহাদের জন্য আছে দুনিয়া ও আখিরাতের মর্মন্তুদ শাস্তি এবং আল্লাহ জানেন, তোমরা জান না।” (২৪ঃ১৯)
১০ঃ “হে আমানুগণ, তোমরা শয়তানের পদাংক অনুসরণ করিও না। কেহ শয়তানের পদাংক অনুসরণ করিলে শয়তান তো অশ্লীলতা ও মন্দ কাজের নির্দেশ দেয়। আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া না থাকিলে তোমাদের কেহই কখনও পবিত্র হইতে পারিতে না, তবে আল্লাহ যাহাকে ইচ্ছা পবিত্র করিয়া থাকেন এবং আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।” (২৪ঃ২১)
১১ঃ “মুমিনদেরকে বল, তাহারা যেন তাহাদের দৃষ্টিকে সংযত করে, এবং তাহাদের লজ্জাস্থানের হিফাজত করে,ইহাই তাহাদের জন্য উত্তম। উহারা যাহা করে নিশ্চয়ই আল্লাহ সে বিষয়ে সম্যক অবহিত।” (২৪ঃ৩০)
১২ঃ “সালাত অবশ্যই অশ্লীল ও মন্দ কর্ম হইতে বিরত রাখে।” (২৯ঃ৪৫)।
১৩ঃ “চক্ষুর অপব্যবহার ও অন্তরে যাহা গোপন আছে সে সম্বন্ধে তিনি অবহিত।” (৪০ঃ১৯)।
১৪ঃ “যাহারা গুরুতর পাপ ও অশ্লীল কার্য হইতে বাঁচিয়া থাকে এবং ক্রোধাবিষ্ট হইলে ক্ষমা করিয়া দেয়। যাহারা তাহাদের প্রতিপালকের আহবানে সাড়া দেয়, সালাত কায়েম করে, নিজেদের মধ্যে পরামর্শের মাধ্যমে নিজেদের কর্ম সম্পাদন করে এবং তাহাদেরকে আমি যে রিজিক দিয়াছি তাহা হইতে ব্যয় করে।” (৫৯ঃ৩৭-৩৮)
১৫ঃ “উহারাই বিরত থাকে গুরুতর পাপ ও অশ্লীল কার্য হইতে, ছোট খাট অপরাধ করিলেও।” (৫৩ঃ৩২)।
সর্ব ভাষার পন্ডিত হইলাম, সমাজের মানুষকে ঠকাইলাম। গোপনে কত পাপ করিলাম, আসলে সঠিক রইলাম না। যৌবনের তারনায় পড়ে, পাগল হয়ে নারীর জন্য ঘুরে, টাকার পাগল সবাই সংসারে, হতে চায় বিশ্বের রাজা। মানুষ কলুষিত হইলে, কেউ ভালবাসে না, কুকুরের লেজে ঘি মাখিলে, কভূ সোজা হয় না। কলুষিত কাজ করিয়া, পরনারী ধর্ষণ করিয়, বে ইনসাফভাবে কর্ম করিয়া, পাথেয়ের ধন রাখলি না।
মূর্খ যে জন প্রেম করে,
কত কলংক এই সংসারে,
বে হিসাবে মিলন করে,
জারজ সন্তান বাঁচতে দেয় না।
কত প্রেমিক এই সংসারে,
পার্কে দেখা করতে যায় ছলনা করে,
দেখা হয় না সব কথা বলা যায় না,
আমার অন্তরে বিরহ বেদনা।
কাম রাজ্যে যে বিরাজ করে,
প্রেম চিনেবে সে কেমন করে,
সমব্যথায় ব্যথিত না হইলে,
ব্যথা কেউ বুঝে না।
ধর্মের লেবাস পড়ে,
নিষেধ কর্ম না ছাড়িলে,
নামাজ রোজায় কি লাভ হবে,
ফাঁকি দিলে সব আল্লাহ জানে।
ঈমান আমল সঠিক করিয়া,
নামাজ রোজা আদায় কর না,
ছয়রিপুর দমন করে,
নফস রোজা কেন রাখ না।
নফস রোজা নিজে রাখিয়া-
দশইন্দ্রিয় জয় করিয়া,
রতিরনে যাও চলিয়া।
সংযমে চল এই সংসারে,
ভান্ডের জল রাইখ ধরে,
বে হিসাবে খরচ করে,
কি জবাব দিবে তুমি হিসাবের পরে।
(সংযমের সংবিধান:শাহজাহান শাহ আঃ)
নিবেদক: আর এফ রাসেল আহমেদ