ঈশ্বরের অনুমতি ছাড়া তার উপর বিশ্বাস স্থাপন করার সাধ্য কারো নেই।
“অথচ আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কারো বিশ্বাস স্থাপন করার সাধ্য নেই; আর আল্লাহ নির্বোধ লোকদের উপর অপবিত্রতা স্থাপন করে দেন।” (সূরা ইউনুস/১০০)
মহা পবিত্র গ্রন্থ কুরআনে আমরা দেখতে পাই ঈশ্বর বলেন যে, ঈশ্বরের অনুমতি ছাড়া তার উপর বিশ্বাস স্থাপন করার সাধ্য কারো নেই, তথা ঈশ্বরের উপর ঈমাণ আনার জন্য অবশ্যই অবশ্যই ঈশ্বরের অনুমতি থাকতে হবে৷ এমতাবস্থায় ঈশ্বর আবার বলে দিচ্ছেন যে, যারা এই বিষয়ে নির্বোধ তথা ঈশ্বরের অনুমতি ব্যাপারে বেখবর তাঁরা’ই তাদের উপর আযাব নিয়ে থাকেন।
এখন বিষয় হলো ঈশ্বরের অনুমতি আমরা কোন উপায়ে নিতে পারি? ঈশ্বর তো অদৃশ্য বা নিরাকার! বলা হয়ে থাকে দুনিয়ার চোখ দিয়ে ঈশ্বরকে দেখার উপায় নেই। আর যেহেতু দুনিয়ার চোখ দিয়ে ঈশ্বরকে দেখার উপায় নেই, সেহেতু আমরা কোন পন্থা অবলম্বন করে ঈশ্বরের অনুমতি নিতে পারি বা কোন পথে গিয়ে আমরা ঈশ্বরের অনুমতিক্রমে ঈমাণ আনতে পারি? কারণ কুরআন তো বলতেছে যে তার অনুমতি ছাড়া ঈমাণ আনার সাধ্য নেই, অবশ্যই আমাদেরকে কুরআনের আয়াত মানতে হবে।
এবার চলুন আমরা ঈশ্বরের অনুমতি নেয়ার চেষ্টা করি, আমাদেরকে যদি ঈশ্বরের অনুমতিক্রমে তার উপর ঈমাণ আনতে হয় তবে সর্বপ্রথম আমাদের নিরাকার ঈশ্বরকে ফেলে দিতে হবে। এবং নিরাকার কোনো ঈশ্বর আছেন এটি সম্পূর্ণ রূপে আমাদের মধ্য হইতে নাই করে দিতে হবে, কারণ দুই ঈশ্বর থাকা শিরক।
আমাদের ঈশ্বর এক বা অখণ্ড তাকে দুই করার কোনো সুযোগ নেই, কিন্তু তাই বলে আমরা কেন নিরাকার ঈশ্বরকে ফেলে দিবো? আমরা নিরাকার ঈশ্বর এজন্যই ফেলে দিবো যে সে আমাদেরকে কোনো অনুমতি দিতে পারেন না। এবং আমরা তাকে ভালো-মন্দ যাহা কিছু’ই বলি সে এসকল ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারেন না৷ আর যে ঈশ্বর জবান রাখেন না সে ঈশ্বর তো আমাদেরকে কোন অনুমতি দিতে’ই পারেন না।
নিরাকার ঈশ্বরকে ফেলে দিয়ে আমাদের সেই ঈশ্বরকে গ্রহণ করতে হবে যে ঈশ্বর ঈমাণ আনার জন্য অনুমতি দিতেছেন বা দিচ্ছেন, আর সেই ঈশ্বর পেতে হলে আমাদেরকে সর্বপ্রথম বাস্তুজগতে প্রবেশ করতে হবে, বস্তুতে প্রবেশ করে অদৃশ্য ঈশ্বর ছেড়ে দিয়ে ঈশ্বরকে দৃশ্যমান করতে হবে, আর ঈশ্বরকে দৃশ্যমান করতে গিয়ে আমরা পরম বন্ধু মুহাম্মদকেও পেতে পারি কারণ সে অনুমতি আমাদের রয়েছে।
চাইলে সকলের মতন আমরাও অদৃশ্য ঈশ্বরকে অনুমানে অনুসরণ করতে পারি কিন্তু এর সীমাবদ্ধতা রয়েছে, অদৃশ্য ঈশ্বরের সীমা অদৃশ্যতেই শেষ।
ঈশ্বর আছেন এটা মুখে স্বীকার করে চলছি
অদৃশ্যতে এর চেয়ে আর বেশি কিছু নেই।
নিরাকার ঈশ্বর আমাদেরকে অনুমতি দেয়না,
কিন্তু সাকার ঈশ্বর আমাদেরকে অনুমতি দেয়।
নিরাকার ঈশ্বর আমাদের সাথে কথা বলে না,
কিন্তু সাকার ঈশ্বর আমাদের সাথে কথা বলে।
নিরাকার ঈশ্বরের হুকুম মানছি এটা স্বীকার করা হলো অনুমান মাত্র, কিন্তু আইনুল ইয়াকিনে স্তরে স্তরে গিয়ে যে সাকার ঈশ্বরের উপস্থিতি পাওয়া যায় সে উপস্থিতি নিরাকারে পাওয়া অসম্ভব। আর সাকার ঈশ্বর জীবিত অবস্থায় আমাদের উপর আদেশ দিচ্ছেন এবং আমরা তা কানে শুনতেছি।
ঈশ্বরকে যে অবস্থানে রাখেন সে সেই অবস্থানে’ই এক, ঈশ্বর নিরাকারে রাখলে সেখানে সে এক আবার ঈশ্বরকে সাকারে রাখলে সেখানেও সে এক।
নিরাকার আর সাকার নিয়ে দোটানায় পরে ঈশ্বরকে দুই আকার করার কোনো সুযোগ নেই৷
– বুদ্ধ মুহাম্মদ কৃষ্ণ