ইলমে মারেফতের পথের ২০টি তত্ব

ইলমে মারেফতের পথের ২০টি তত্ব

১. মারফত অর্থ আল্লাহ্‌কে জানা, অন্তরের গভীর উপলব্ধিতে চেনা।

২. কুরআন বলেছে: “ফা’লম আন্নাহু লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” – আগে জান, তারপর ঈমান।

৩. বাহ্যিক জ্ঞান নয়, অন্তর্জ্ঞানই মারফতের মূল।

৪. যারা আল্লাহকে ভয় করে, তারা প্রকৃত আলেম – “ইন্নামা ইয়াখশাল্লাহা মিন ইবাদিহিল উলামা”।

৫. হাদীস: “যে নিজের নফসকে চিনেছে, সে তার রবকে চিনেছে”।

৬. মারফত অর্জনের পূর্বশর্ত আত্মশুদ্ধি ও নফসের জিহাদ।

৭. আল্লাহ বলেন: “যারা আমাদের জন্য মুজাহাদা করে, তাদের আমরা আমাদের পথে হিদায়াত দিই”।

৮. মারফতের সূচনা তাওবা দিয়ে, মাঝখানে মুজাহাদা, শেষ ফানা ফিল্লাহ ও বাকা বিল্লাহ।

৯. হাদীস কুদসী: “আমি ছিলাম এক গোপন ধনভাণ্ডার, আমি চাইলাম পরিচিত হতে, তাই সৃষ্টি করলাম মাখলুক”।

১০. আল্লাহর মারফতই সৃষ্টির চূড়ান্ত উদ্দেশ্য।

১১. মারফত এমন এক নূর যা কেবল নফস, হাওয়া ও শয়তান থেকে মুক্ত অন্তরে প্রবেশ করে।

১২. মারফতের ফলে বান্দা দুনিয়ার মোহ ভেঙে আল্লাহর দিকে ধাবিত হয়।

১৩. ওলি-আল্লাহরা মারুফতের পথ দেখিয়েছেন আত্মত্যাগের মাধ্যমে।

১৪. কুরআন: “কুল্লু শাইইন হালিকুন ইল্লা ওয়াজহাহু” – সব কিছু ধ্বংস হবে, রয়ে যাবে শুধু আল্লাহর সত্তা।

১৫. মারফত মানেই হল নিজের অস্তিত্ব বিলীন করে আল্লাহর সত্তাকে অনুভব করা।

১৬. মারফত না থাকলে ইবাদত হয়ে পড়ে রীতি-নীতি, প্রাণহীন কর্ম।

১৭. মারফতের নূর হৃদয়ে জ্বললে আল্লাহ ছাড়া আর কিছুই মুখ্য মনে হয় না।

১৮. মারফত কেবল মুখে “আল্লাহ” বলা নয়, বরং হৃদয়ে “আল্লাহ ব্যতীত কিছুই নেই” উপলব্ধি করা।

১৯. প্রকৃত মারফত অর্জন করতে হলে চাই মুর্শিদ কামিলের সোহবত।

২০. মারফতের পথ ধৈর্য, ইখলাস ও মুজাহাদার পথ – এটাই অলি-আল্লাহদের জীবনদর্শন।

আরো পড়ুনঃ
Sufibad24.com | WhatsApp চ্যানেল

Sufibad24.com | Telegram Channel