ঈশ্বর কি তবে মানুষের সৃষ্টি?
মানুষের ভয়, অপারগতা, অজানার দংশন—
এই সব কিছুর মধ্যেই জন্ম নেয় এক চিরন্তন প্রশ্নঃ
“কে আমায় সৃষ্টি করল?”
এই প্রশ্নের উত্তরেই জন্ম নেয় ঈশ্বর।
যে সব জানে, সব পারে, সব দেখে।
এক সর্বশক্তিমান অস্তিত্ব,
যার কাঁধে মানুষ তুলে দেয় নিজের সব ব্যর্থতা, অক্ষমতা, ব্যথা।
কিন্তু ঈশ্বর কি নিজে নিজেই ছিলেন,
নাকি মানুষই তাঁকে সৃষ্টি করেছে নিজের প্রয়োজন মেটাতে?
যখন মানুষ ছিল অসহায়,
তখন ঈশ্বর ছিল আশ্রয়।
যখন সমাজে শৃঙ্খলা লাগল,
তখন ঈশ্বর হল বিচারক।
যখন ভয় দরকার হল মৃত্যুকে জয় করতে,
তখন ঈশ্বর হল পরকাল— জান্নাত বা জাহান্নাম।
ঈশ্বর, তাই এক চমৎকার সৃষ্টি—
“সৃষ্টির সৃষ্টিকর্তা নয়, বরং সৃষ্টির ভয় থেকে জন্ম নেয়া কল্পিত নিয়ন্ত্রক।”
একেক জন একেক রূপে তাঁকে গড়ে নেয়—
কারও কাছে তিনি আলো, কারও কাছে অন্ধকার, কারও কাছে আগুন।
কারও কাছে রক্ষা, আবার কারও কাছে প্রতিশোধ।
“মানুষ যদি ঈশ্বরের সৃষ্টি হয়,
তবে ঈশ্বরের ধারণা— মানুষের মনন থেকে উদ্ভূত সবচেয়ে জটিল সৃষ্টি।”
– ফরহাদ ইবনে রেহান