হোমপেজ আধ্যাত্মিক প্রশ্ন ও উত্তর আধ্যাত্মিক প্রশ্নোত্তর (পর্ব-০৮)

আধ্যাত্মিক প্রশ্নোত্তর (পর্ব-০৮)

508

আধ্যাত্মিক প্রশ্নোত্তর (পর্ব-০৮)

৪০.
শিষ্যঃ হাশর কি?

গুরুঃ হাসর হল পরিনামের মাঠ। যেখানে জীব তার কৃতকর্মের ফল ভোগ করবে। সেটা আর কোথায় হতে পারে! নিশ্চয়ই এই পৃথিবীই হাশরের ময়দান। জন্মের পর থেকেও জীবের হাশর শুরু হয়।

৪১.
শিষ্যঃ কিন্তু হাশর ত পৃথিবী ধংষের পরের জীবন। তাহলে পৃথিবী বলতে কি বুঝায়? কুরআনে ত স্পষ্ট আছে যে কেউ একবার পৃথিবী থেকে চলে গেলে সে আর পৃথিবীতে ফিরতে পারবে না।

গুরুঃ অতি উত্তম প্রশ্ন। তোমার দেহই হল পৃথিবী। কেউ একবার দেহ থেকে বের হয়ে গেলে সে আর সেই দেহে ফিরে আসতে পারে। কুরআনে এই দেহভান্ডের কথাই বলা হয়েছে। তুমি কেন বুঝতেছো না হে পার্থ! মানুষ যা করতে তাহারই বদলা পাবে, তাহলে লাঠির আঘাতের বিনিময়ে লাঠির আঘাত, আর থাপ্পড়ের বিনিময়ে থাপ্পড়, দানের বিনিময়ে ধনই পাওয়া উচিত। কিন্তু থাপ্পড়ের বিনিময়ে জীব কেন আগুনে জ্বলবে! তাই সঠিক পরিনাম পেতে হলে এই পৃথিবীতেই আসতে হবে, অন্য কোথাও কর্মের ফল পাওয়ার উপায় নেই। হোক সেটা ভাল কিংবা মন্দ কর্ম।

৪২.
শিষ্যঃ তাহলে যে শুনি পাপ পূণ্যের পরিমাপ করা হবে মীজানের পাল্লায়, তবে কি সেটা মিথ্যা!!! মীজান এর হাকীকত কি প্রভু?

গুরুঃ ঈশ্বর এবং তাঁর কোনো প্রতিনিধির কথা কখনোই মিথ্যা হতে পারে না। আমরাই তাদের কথার হাকীকত বুঝতে পারি না। প্রতিটা মানুষের পাপ পূণ্যের পরিমাপ হচ্ছে। বিবেক হল সেই মীজান। মানুষ কোনো কর্ম করার সাথে সাথেই সে তার পাপ ও পূন্যের বিচার স্বয়ং করতে পারে এই বিবেকের মাধ্যমে।

৪৩.
শিষ্যঃ তাহলে পুলসিরাত কি প্রভু? যে পথ বাকি হিরার চেয়ে ধারালো এবং চুলের চেয়ে সূক্ষ্ম। যার ঐ পারে থাকবে স্বর্গ আর তলদেশে থাকবে নরক।

গুরুঃ ধর্মপথই হল পুলসিরাত। ধর্মের পথ হিরের চেয়ে ধারালো, চুলের চেয়েও সূক্ষ্ম। সৎ পথে চলতে থাকো, তবেই এর বাস্তবতা উপলব্ধির করতে সক্ষম হবে তুমি। ধর্মের পথে পারি দিতে পারলে তুমি স্বর্গ লাভ করবে এবং পা পিছলে পরে গেলে নরকে গমন করে।

৪৪.
শিষ্যঃ তাহলে স্বর্গ-নরক কোথায়?

চলবে….

» পরবর্তী পর্ব শুলো দেখুন

লেখাঃ DM Rahat