কবরের ৩টি প্রশ্নের আসল ভেদতত্ত্ব
আজগবি বয়ান আর শুনব কত? সুখ-দু:খ দেহখাঁচায় ভোগ করে নফস তথা প্রাণ তথা জীবাত্মা (?) করব দুই প্রকার, মাজাজি তথা রূপক কবর, হাকিকী তথা আসল কবর। মাটির গর্তটি হলো- মাজাজি রূপক কবর, আর জীবন্ত দেহটি হলো হাকিকী তথা আসল কবর। মাটির গর্তটি লাশের কবর, জীবন্ত দেহটি নফসের (জীবাত্মার) কবর।
জাহান্নামের আজব মাটির গর্ত নামক মাজাজি কবরে হয় না, ইহা রূপক আজাব। জাহান্নামের আজাব হয় আপন দেহনামক কবরে তথা নফসে। ইহা হাকিকী তথা আসল আজাব। করবে যে তিনটি প্রশ্ন করা হবে তা মাটির গর্ত নামক কবরে করা হবে না, এই তিনটি প্রশ্নের সমাধান আপন দেহনামক কবরে অবস্থান করেই সমাধান করতে হয় (?)
১. তোমার রব কে?
এই জীবন্ত দেহনামক কবরেই আপন রবের পরিচয় পেতে হবে। তাই আল্লাহপাক বলেছেন- “আলাইকুম আনফুসাকুম” তোমরা নিজকে নিয়ে চিন্তা করো। সকল মহামানবগণ বলেছেন- “মান আরাফা নাফসাহু ফাক্বাদ আরাফা রব্বাহু” যে যার নিজকে চিনেছে সে তার “রব”কে চিনে ফেলেছে। আপন রবকে চিনতেই নিজকে চিনতে হবে এই জীবন্ত দেহে অবস্থান করেই।
আপনি নিজে দেহখাঁচা হতে বের হয়ে গেলে আর নিজকে চিনবেন কি করে? নিজকে না চিনলে; আপন রবকে চিনবেন কি করে? তাই তো শ্রেষ্ঠ দার্শনিক সক্রেটিস বলেছেন-“নো দাই সেল্ফ” নিজকে চিনো। মহান রবকে চিনতেই ইসলামে নিজকে চিনার গুরুত্ব অপরিসীম।
২. তোমার দ্বীন কি?
এই জীবন্ত দেহ নামক কবরের আজাব হতে মুক্ত হয়েই আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে হবে? আপনি যখন আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করবেন তখন আপনি তাওহীদে বাস করবেন। তাওহীদে শেরেক নাই তথা এক বিনে দুই নাই; শেরেকে তাওহীদ নাই।
৩. আপনার রসূল কে?
এই জীবন্ত দেহনামক করবেই আপন রসুলের সাক্ষাৎ পেতে হবে? কোরান জানান দিচ্ছে যে নফস দুনিয়াতে অন্ধ, সেই নফস পরবর্তীতে দেহ ধারণ করেও অন্ধই হবে, এবং অধিক পথভ্রষ্ট হবে। যা ভোগ করতে হবে তা বর্তমানেই করতে হবে! মৃত্যুর পরের আজগবি বয়ান বাকি, আর বাকির নাম ফাঁকি (?)
Author: RF Rasel Hamed