সালাত কায়েম এবং দায়েমী সালাত৷
দায়েমী সালাত:
দায়েম – অর্থ অবিরাম, নিরবিচ্ছিন্ন, বিরতিহীন,
সালাত – অর্থ স্মরণ করা এবং তাঁহাদের সহিত সংযোগ প্রতিষ্ঠা করা৷
দায়েমী সালাত অর্থাৎ- আল্লাহ ও তাঁহার রাসূলকে অবিরাম বা নিরবিচ্ছিন্ন স্মরণের দ্বারা তাঁহাদের সহিত সংযোগ স্থাপন করা প্রতিটি কর্মে, প্রতিটি নিশ্বাস-প্রশ্বাসে, প্রতিটি মুহূর্তে স্মরণ ক্রিয়া চালিয়ে যাওয়াই দায়েমী সালাত৷
আল্লাহর সাথে সংযোগ স্থাপন করতে হলে প্রথমে তাঁহার রসূলের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে হয়! রসূলের সংযোগ ই আল্লাহর সংযোগ৷ প্রতিটি কামেল মুর্শিদই একজন নায়েব, হাকিকতে রসূল৷ এই কথা না বুঝিলে সালাতের মূলনীতি নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করা এক প্রকার অসম্ভব৷
সালাতের মূল নীতি ব্যক্তি জীবনে প্রতিষ্ঠিত করে আত্মদর্শনের গভীরতা অর্জন করতে হলে প্রথমে আপন মুরশিদকে অবিরামভাবে স্মরণ করতে হবে! এই স্মরণ থেকে শুরু করে পরিনামে বাস্তব সংযোগ প্রতিষ্ঠা করাই হইলো দায়েমী সালাত৷ সালাত অর্থে দায়েমী সালাত বা নিরবিচ্ছিন্ন স্মরণ-দায়েমী সালাতের নির্দেশ দিয়েছেন৷
কোরআনে বলা হয়েছে- “সেই ব্যক্তিই মুসল্লি যিনি তাঁহার সালাতে (স্মরণে) সর্বক্ষণ অধিষ্ঠিত থাকেন৷” [কোরআন (৭০: ২২-২৩) বা, সুরা মারেজ (২৩) নম্বর আয়াতে]
একজন মহা পুরুষের মধ্যে আল্লাহর সত্ত্বাব্যতীত ভিন্ন কোন সত্ত্বা নাই! তাই স্মরণ মূলত আপন পীরের দিকেই করতে হয়, কোরানুল করীমের ভাষ্য মতে সালাত কায়েম করো বা স্মরণ প্রতিষ্ঠিত করো! সালাত প্রথমে প্রতিষ্ঠিত হবে সালাতি ব্যক্তির হৃদয়ের মধ্যে৷
সালাতি ব্যক্তি যখন নিজের অন্তঃকরণের মধ্যে আপন পীরের স্মরণকে নিরবিচ্ছিন্ন করতে পারবে তখনই তাঁহার সালাত কায়েম হবে!
– সূফীবাদের রহস্য