নূরে মোহাম্মদীর সৃষ্টির রহস্য (পাক-পাঞ্জাতন) এর মাহাত্ম্য

নূরে মোহাম্মদীর সৃষ্টির রহস্য (পাক-পাঞ্জাতন) এর মাহাত্ম্য

হাদিসে কূদসী থেকে জানতে পারি স্রষ্টা ছাড়া যখন কোন কিছুই ছিল না অর্থাৎ আল্লাহপাক শূণ্যময় নিস্তদ্ধে ছিলেন, তখন আল্লাহপাক কূন বা হও আদেশ বলে তার নূর হতে নূরে মোহাম্মদী সৃষ্টি হয়েছিল। উক্ত নূরে মোহাম্মদীকে সৃষ্টি করে ময়ূর রুপে (রুপক শব্দ) “সাজারাতুল একিন” নামক চার ডাল বিশিষ্ট একটি গাছে বসিয়ে রাখেন।

উক্ত ময়ূর সত্তর হাজার বছর আল্লাহ পাকের তজবীহ পাঠ করতে থাকে। সেই পিন্ডময় রুপাকৃতির প্রতি আল্লাহ পাক অপলক নয়নে বহুকাল হেরিয়া রইলেন।একদিন সেই ময়ূরের সামনে আল্লাহপাক হায়া শরমের একটি আয়না স্থাপন করেন।

আর আয়নার মধ্যে পাখির স্বীয় জালোয়া রুপ লাবণ্য সৌন্দর্য অবলোকন করামাত্র লজ্জায় ম্রিয়মান অবস্থায় বলে,আহ আমি এতই সুন্দর তবুও তার গুণগান কৃতজ্ঞতা কিছুই করিনি। এই বলে ময়ূর নূরে মোহাম্মদী আল্লাহ পাকের উদ্দেশ্যে ৫টি সেজদা করে শুকরিয়া আদায় করেন।

যখন ময়ূর পাখি আয়নার মধ্যে স্বীয় স্বরুপ দেখে মহানন্দে উৎফুল্লতায় সারা দেহভান্ড আলোড়নে ঘর্মাক্ত হয়ে উঠল সেই ঘর্মের এক বিন্দু ললাট হতে প্রবাহিত হয়ে নাকের অগ্রভাগে টপ করে পড়ে গেল।সেই ঘর্ম বিন্দুর নূর হতে এই সার্বভৌম যত ইতি সৃষ্টি হয়ে ত্রিজগৎ ভর্তি হল।

উক্ত ময়ূররুপী নূরে মোহাম্মদীর মাথার তাজ হলেন হযরত আলী(আ:), গলার হার হলেন হযরত মা ফাতিমা (আ:), কানের দুল হলেন হযরত ইমাম হাসান (আ:) ও ইমাম হোসাইন (আ:)। – [আরজাহুল মোতালিব]

যারা সৃষ্টি তত্বের রহস্যর ভেদে অবিশ্বাসী তাদের জন্য দলিল স্বরুপ ইমাম গাজ্জালী (রহ:) এর “দাকায়েকূল আখবার” কিতাবের ৫নং পৃষ্ঠায় বর্ণিত “নূরে মোহাম্মদীর সৃষ্টির রহস্য” পড়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।

সূএঃ “শানে পাক-পাঞ্জাতন” পৃষ্ঠা: ৩৩-৩৪।

আরো পড়ুনঃ
Sufibad24.com | WhatsApp চ্যানেল

Sufibad24.com | Telegram Channel