মসনবী শরীফ : বন্য পশুদের কথায় বাঘের তাওয়াক্কুল করা ও নিজের চেষ্টা পরিত্যাগ করার বর্ণনা
তায়ফায়ে নাখ্চির দর ওয়াদিয়ে খেশ,
বুদে শাঁ আজ শেরে দায়েম কাশমা কাশ।
বছকে আঁ শের আজ কমিনে দরমী রেবুদ,
আঁ চেরা বর জুমলা না খোশ গাস্তাহ্ বুদ।
হীলা কর দান্দ আমদান্দ ইঁশা ব শের,
কাজ ওজীফা মা তোরা দারেম ছায়ের।
যুজ ওজীফা দর পায়ে ছায়েদে মইয়া,
তা না গরদাদ তলখে বরমা ইঁ গোয়া।
অর্থ: কোনো এক জঙ্গলে বন্য পশুরা বাস করিত, কিন্তু একটা বাঘের উৎপাতে ইহারা বিপদগ্রস্ত ছিল। বাঘ যে সময় ইচ্ছা করিত সেই সময়ই আসিয়া পশুদের যাহাকে ইচ্ছা বদ করিয়া লইয়া যাইত। এই জন্য ঐ জায়গায় চারণভূমি পশুদের নিকট অশান্তিদায়ক মনে হইত। অবশেষে সমস্ত পশুরা পরামর্শ করিয়া একটি পদ্ধতি ঠিক করিয়া বাঘের নিকট যাইয়া বলিল, আমরা আপনার দৈনিক খোরাক নির্ধারিত করিয়া দেই। ধারাবাহিকভাবে নিয়মিত আপনার কাছে খাদ্য আসিয়া পৌঁছিবে এবং আপনি সর্বদা উহা খাইয়া তৃপ্তিলাভ করিতে পারিবেন। অতএব, আপনার দৈনিক সাধারণ খাদ্যের জন্য শিকার করিতে আসিবেন না। কারণ, তাহাতে আমাদের নিকট এই সবুজ ভূমি ভীতিজনক ও অশান্তিদায়ক বলিয়া মনে হয়।
[বাংলা এই ভাবানুবাদ বরিশাল থেকে প্রায় ৫০ বছর আগে প্রকাশিত। এই দুর্লভ সংস্করণটি সরবরাহ করেছেন সুহৃদ (ব্যাংকার) নাঈমুল আহসান সাহেব। সম্পাদক – কাজী সাইফুদ্দীন হোসেন]
মূল: মসনবী শরীফ ২য় খন্ড – মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমী (রহ:)।
ভাষান্তর: এ, বি, এম, আবদুল মান্নান।
মুমতাজুল মোহদ্দেসীন, কলিকাতা আলিয়া মাদ্রাসা।