প্রতিটি নরনারীর উপর জ্ঞান অর্জন করা ফরজ৷
মুসলিম দর্শন: “প্রতিটি নরনারীর উপর জ্ঞান অর্জন করা ফরজ।” প্রকৃতসত্তার অনুসন্ধান করাই দর্শনের লক্ষ্য৷ মুসলমানরা অনান্য জাতির মতো যুগ যুগ ধরে চিন্তা ও কর্মের সংমিশ্রণে জীবনদর্শন গড়ে তুলেছেন। এই জীবনদর্শনের মূল ভিত্তি হচ্ছে কুরআন ও হাদিস। কুরআন ও হাদিসে পূর্ণাঙ্গ জীবনীবিধান স্পষ্ট ভাবে রয়েছে। তবুও পরিবর্তিত সময়ে প্রেক্ষাপটে উৎপন্ন সমস্যাগুলো এবং কুরআন হাদিস ব্যাখ্যায় মতবিরোধ সমাধানে চিন্তা, যুক্তি ও মতৈক্য বিষয়গুলো নিয়ে উৎপত্তি হয়েছিল মুসলিম দর্শনের৷
উৎস: কুরআনের আয়াতগুলো তিন ভাগে বিভক্ত। যথা-অনুমান, নিরীক্ষণ ও অভিজ্ঞতা। এ সকল উৎসগুলোর ব্যাখ্যা দিতে বিভিন্ন চিন্তাগোষ্ঠীর আবির্ভাব হয়৷ এদের মধ্যে খারেজি, কাদারিয়া, জাবারিয়া, আশারিয়া ও সুফি সম্প্রদায় অন্যতম৷ তাদের দার্শনিক আলোচনার ভিত্তি ছিল কুরআন ও হাদিস। তাছাড়াও গ্রিক, পারস্যিক ও ভারতীয় দর্শনের কিছুটা প্রভাব মুসলিম দর্শনে লক্ষ্য করা যায়৷
অবদান: আল ফারাবি, আল কিন্দি, আল গাজ্জালি, ইবনে সিনা প্রমুখ মুসলিম দার্শনিকগণ দর্শন শাস্ত্রের বিভিন্ন শাখা যেমন জ্ঞান তত্ত্ব, অধিবিদ্যা, যুক্তিবিদ্যা ও নীতিবিদ্যায় অভূতপূর্বক অবদান রেখেছেন৷ মধ্যযুগে পৃথিবীতে সবচেয়ে গৌরবময় স্থান ছিল পারস্য। এখানের লাইব্রেরিতে দর্শনের জটিল সব বিষয় আরবিতে লেখা ও ব্যাখ্যা করা হয়েছিল৷ পরবর্তীতে এই পান্ডুলিপিগুলো আরব থেকে পাশ্চাত্য দেশে যায়। আধুনিক পাশ্চাত্য দর্শন চিন্তায় মুসলিম দর্শনের প্রভাব রয়েছে।
শাকিল মিয়া,
শিক্ষার্থী, দর্শন বিভাগ।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।