প্রাচীনতমের প্রসাদ (জালাল উদ্দিন রুমি)।
দেহ অতিক্রম করে আত্মার কাছে পৌঁছাও। তুমি পৌঁছে যাবে সৃষ্টিকর্তার জগতে। সত্য প্রাচীন এবং চিরঞ্জীব। যে সৃষ্টি, সে কোথায় চিরঞ্জীবকে খুঁজে পাবে? পার্থিব সৃষ্টির সাথে প্রভুদের প্রভুর যোগ সূত্র কি? তোমার মতামত অনুযায়ী, আত্মই যাত্রা তথা মুক্তির পথ; তবে আত্মাটাকে তোমার হাতে তুলে দেবার প্রয়োজনটা কি? রহস্য যেখানে প্রকাশিত হয়ে যেতে পারে? যদি প্রেমাস্পদেরা তাদের যে যার মাথা, জীবনের উপহার তোমার কাছে নিয়ে আসে তারা তো কেবল জিরার চারাগুলো কের্মান শহরে নিয়ে আসে, যেখানে সব জিরা তৈরি হয়।
কি খ্যাতি সে বয়ে আনবে? কি তার মূল্য? এক প্রসাদ আছে, সেখানে তিনি থাকেন প্রয়োজনহীন ভাবে। তোমার প্রয়োজন সেখানে নিয়ে যাও! কারণ, চাহিদা হীন কেউ ভালোবাসে প্রয়োজন, আর তুমি, সেই প্রয়োজনের তাগিদে ঝাঁপ দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারো সৃষ্টি ক্রিয়াকর্ম ছেড়ে।
চিরঞ্জীবীর সাথে তোমার যা দিয়ে সংযোগ, তা হ’ল প্রেম। গোপন সূত্র থেকে অতর্কিতে হানা দেয় প্রেম। তা তোমায় আলিঙ্গন করে, যেমনটি কোরআন বলেঃ- “তারা ঈশ্বরকে ভালোবাসে কারণ ঈশ্বর তাদের ভালোবাসেন (৫:৫৪)।”
যখন তুমি প্রাচীনতম চিরঞ্জিবকে দেখবে প্রাচীনতম চিরঞ্জীবের মাধ্যমে: কারণ “সমস্ত সৃষ্টি সম্পর্কে তিনি অবহিত (৬:৩)।” শব্দগুলোর এই সেই অখন্ড পরিপূর্ণতা যা কখনো শেষ হয় না, যা কখনো শেষ হবে না, পুনরুত্থানের দিন পর্যন্ত।
উদ্ধৃতি-
“মাকালাত-ই-শামস-ই-তাবরিজি জীবনী গ্রন্থ”
-মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমি