শিয়াদের সম্পর্কে ডা. বাবা জাহাঙ্গীরের মতামত।

শিয়াদের সম্পর্কে ডা. বাবা জাহাঙ্গীরের মতামত।

শিয়ারা সম্পূর্ণরূপে সুফিবাদকে অস্বীকার করে। শিয়ারা বলে, শিয়ারা ইসলাম বহির্ভূত, সম্পূর্ণ একটি নবদর্শন। যেহেতু সুফিবাদকে অস্বীকার করে তাই মারেফতের কথা শিয়াদের সইতে পাবার আশা করাটা সম্পূর্ণ রূপে বৃথা। শিয়াল আর মুরগির মধ্যে যেমন প্রেমের সম্পর্ক হয় না তেমনি শিয়াদের সঙ্গে সুফিবাদেরও প্রেম হতে পারে না।

যেহেতু সুফিবাদের জনক তথা পিতা হলেন, গাউসুল আজম গাউসে পাক আবদুল কাদের জিলানী আল হাসানি ওয়াল হোসাইনি আওলাদে ইমাম মুসা কাজেম সেইহেতু গাউসুল আজম গাউসে পাক শিয়াদের কাছে সবচাইতে বড় শত্রু। শিয়ারা বড়পীর সাহেবের উপর কত রকম আজগুবি গল্প আর ঘৃণা ছড়াবার কলাকৌশল অবলম্বন করে, যাতে বড়পীর সাহেব মুসলমানদের চক্ষুশূল হয়ে দাঁড়ায়। বিকৃত বানোয়াট ইতিহাসের ধুয়া তুলে বড়পীর সাহেবকে যে জঘন্য গালিগালাজ করে তাতে অনেক সুন্নি মুসলমান তাদের ধোঁকার খপ্পরে পড়ে যায়।

সিদ্ধিসেবনে চুর হয়ে কলাগাছে শিয়াল উঠার মতো আজব আজব কথা শিয়ারা বড়পীর সাহেবের নামে আবিষ্কার করে।শিয়ারা পাকপাঞ্জাতন, বার ইমাম চৌদ্দ মাসুম, ওহুদানে কারবালার সবাইকে এতই ভালবাসে যে, সুন্নিরা তাদের ধারে কাছেও যেতে পারবে না। ইহা অপ্রিয় হলেও সত্য কথা। রুমীর মসনবি শরিফ, হাফেজ সিরাজি, সানাই, খৈয়াম, হাল্লাজ এইসব ওলি বিষয়ে একদম নীরবতা পালন করে। যদি এদের বিরুদ্ধে কিছু বলা হয় তাহলে শিয়াদের আসল রূপটি ধরা পড়ে যাবে।

মাওলানা জালাল উদ্দীন রুমীর বিস্ময়কর রচনা মসনবি-তে হজরত আবুবকর ও হজরত ওমরের প্রশংসা থাকাতে রুমীর নামটি শিয়ারা উচ্চারণ করে না। শিয়াদের লিখনিতে কোন ওলি, গাউস, কুতুব, আবদাল, আরিফ, মুফতা খারাজুয়ে, রিন্দি, সোহাগি, সারেঙ্গি, নারেঙ্গিদের কথা ভুলেও পাবেন না। শিয়ারা ইমামিয়া নাম দিয়ে একটি তরিকার কথা বলে অথচ সমগ্ৰ পৃথিবীতে ইমামিয়া বলে কোন তরিকাই নাই।

যদি প্রশ্ন করেন, ইমামিয়া তরিকার সিলসিলা তথা চেইন অব কমান্ড তথা সাজরা শরিফটি দেখান তো? তাহলে তাদের বারোটা বেজে তেরোটাও ঝুলে যাবে এবং থলের আসল বিড়ালটি সুরসুর করে বেরিয়ে আসবে। সুতরাং শিয়াদের ডুগডুগি বাজানো হতে সাবধান।

  • গ্রন্থ: মারেফতের গোপন ভেদ-রহস্য (পৃষ্ঠা:১০৮-১০৯)
  • লেখক: ডা. কালান্দার বাবা জাহাঙ্গীর বা-ঈমান আল সুরেশ্বরী।

নিবেদক: ইমরান হাসান ইমন

আরো পড়ুনঃ
Sufibad24.com | WhatsApp চ্যানেল

Sufibad24.com | Telegram Channel